হেলথ ডেস্ক, ০৩ মে ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): দিনাজপুরে একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু এবং এক ব্যাংক কর্মচারীসহ নতুন করে ৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে। পরিবারটি’র বাড়ি কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে। তারা কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে। হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলো তারা। আক্রান্ত ব্যাংক কর্মচারীর বাড়ি দিনাজপুর শহরে। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরস্থ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
এনিয়ে দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৭ জন। শহরে এক দম্পতি ও তার শিশু এবং আরো দু’জন,বাকি দু’জনের মধ্যে একজন আউলিয়াপুর ইউনিয়নের হরহরিপুর গ্রামে এবং অপরজন চেহেলগাজী ইউনিয়নের শিবরামপুরে।
নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন,ঘোড়াঘাট উপজেলায় দু’জন,হাকিমপুর(হিলি) উপজেলায় দু’জন, ফুলবাড়ী উপজেলায় একজন,পাবর্তীপুর উপজেলায় একজন, কাহারোল উপজেলায় ৪ জন এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় একজন করোনায় আক্রান্ত রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন মহিলা, একজন শিশুপুত্র, একজন শিশুকন্যা ও ১৫ জন পুরুষ। আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে ১৯ জনেই ঢাকা,নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর ফেরত। আর দু’জন স্থানীয়। ফুলবাড়ী উপজেলায় করোনা আক্রান্ত একজন এবং শহরে আক্রান্ত দম্পতি’র স্বামী এখন সুস্থ্যের পথে। তাদের ফলোআপ পরীক্ষায় নেগেটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন,দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুল কুদ্দুস।
দিনাজপরে বরোনাভাইরাস সংক্রমন ঝুকি এড়াতে অনির্ষ্টকালের লকডাউন চলছে। ১৫ এপ্রিল রাত ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। আজ রোববার থেকে শহরে প্রশাসন কঠোর অবস্থান গিয়েছেন। রাস্তার মোড়ে মেড়ে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। আটক করা হচ্ছে,চলাচলকারীকে। তার পরও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে মানুষ চলাচল করছে।
লকডাউন চলছেও জেলায় অধিকাংশ মানুষ মানছেনা লকডাউন। শহরে পুলিশ,র্যাব,সেনাবাহিনী টহল দিলেও জেলায় অধিকাংশ মানুষ মানছেনা,সামাজিক দূরত্ব।পাড়া-মহল্লায় জটলা বেধে আড্ডা,খোশ-গল্প চলছে। যান বাহন চলছে। চলছে উল্লাসও। লকডাউনের নামে বেশকিছু পাড়া-মহল্লার প্রধান রাস্তাগুলো বাঁশ,ঝাড়-জঙ্গল ফেলে অবরোধ করে দিয়েছে,স্থানীয় কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি ও বখাটে তরুর-যুবকেরা। একারণে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, প্রশাসনের লোকজন এবং ত্রাণকর্মীরা ওসব এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না। তবে, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, নেশা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিদিন বাজারগুলোতেও উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষতি হচ্ছে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বের হচ্ছে মানুষ। যারা বের হচ্ছেন, আইন শৃংখলা বাহিনী আটক করলেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন তারা। একারণে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম নতুন করে শুক্রবার বিকেলে জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। তাতে জনসাধারণকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে পরিবহন, ইবিাইক চলাচলাচলে নিষেধাজ্ঞা, মোটর সাইকল বের করার বিষয়ে শর্ত আরোপ করেছেন। এছাড়া কাাঁচা বাজার ও মুদির দোকান সকাল ৬টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এবং একমাত্র ওষুধের দোকান সর্বক্ষণ খোলা থাকবে। তবে অন্যান্য সব দোকানপাট মিলকারখানা বন্ধ থাকবে বলেও জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। যারা তা মেনে চলবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Leave a Reply